Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2020

বুক রিভিউ "দাস পার্টির খোঁজে": এক অদম্য সাহসী যোদ্ধা ও সমসাময়িক পরিস্থিতির আখ্যান

১. মুক্তিযুদ্ধের সময় তো হিন্দুদের জনসংখ্যা অনেক ছিলো।কিন্তু কয়জন হিন্দু আর যুদ্ধ করছে?  ২. হিন্দুরা যদি স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিয়েছে, তাহলে কেন খেতাবধারী হিন্দু মুক্তিযোদ্ধা এত কম কেন? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। হিন্দুদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ কিংবা তাদের বীরত্ব, দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলা কূপমণ্ডূকেরা নিশ্চয়ই জগতজ্যোতি দাসের নাম শোনেনাই। অদম্য, অপ্রতিরোধ্য 'টেরর দাস' এর মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল জীবিত অথবা মৃত। জগতজ্যোতির ভয়ে ভৈরব টু শেরপুর ও সুনামগঞ্জ নৌপথকে, যা ছিলো পাকিস্তানি বাহিনীর দুই লাইফলাইন, রেডিও পাকিস্তান থেকে ঘোষণা দিয়ে বিপজ্জনক ঘোষণা দেয়া হয়। জগতজ্যোতির মৃত্যুর পর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে তাঁর বীরত্বের জন্য সর্বোচ্চ সম্মান দেয়ার ঘোষণা এসেছিলো। এই জগতজ্যোতি দাসের বিশেষ গেরিলা দলের নাম ছিলো দাস পার্টি। জগতজ্যোতির যুদ্ধের কথা, তার পার্টির জীবিত সদস্যদের সাক্ষাৎকার নিতে নতুন প্রজন্মের এক লেখকের হাওরাঞ্চলে ভ্রমণ এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনা নিয়ে " দাস পার্টির খোঁজে " বইটি লেখা। জগতজ্যোতি দাস মুক্তিযুদ্ধে ৫ নং সেক্টরের টেকেরঘাট

বুক রিভিউ "লাইনে আসুন": প্রথমে হাসাবে, তারপরে ভাবাবে

সময়টা ২০১২ সাল। আমার হাতে এলো বনফুলের শ্রেষ্ঠ গল্প নামে বনফুলের ছোটগল্পের একটা সংকলন। তারপর সে গল্পগুলো গোগ্রাসে গেললাম। তখন গল্পগুলোর নিহিত অর্থ বুঝতে না পারলেও বয়স বাড়ার সাথে সাথে অল্প অল্প করে সেই গল্প গুলো চিন্তাভাবনার জগতে দোলা দিতে শুরু করলো। ২০১৪-২০১৫ সালের দিকে " কিশোর আলো "র কল্যাণে শিবরাম চক্রবর্তীর কয়েকটা গল্প পড়ি। অন্যরকম এক ভালো লাগা জন্মে গেলো লোকটার প্রতি। তারপর শুরু হলো আমার শিবরাম শিকার। ২০১৮ সালের শুরু দিকে পেলাম " শিবরাম রচনা সমগ্র " নামে শিবরামের গল্পের একটা প্রকাণ্ড সংকলন। তারপর শিবরাম গোগ্রাসে গেললাম। (আজেবাজে কথা অনেক বললাম, এবার লাইনে আসা যাক!) " লাইনে আসুন " চরম উদাস নামের একজন ব্লগারের রম্য গল্পের একটি সংকলন। উনার ভালো নাম তপু রহমান (তবে উনার ভাষায় চরম উদাস আসল নামের চেয়েও বেশী ভালো, বেশী আসল নাম)। উনার লেখালেখির বেশিরভাগই মূলত সচলায়তন ব্লগে। (এই বইয়ের অনেক গল্পই সচলায়তনে আগেই প্রকাশিত হয়েছে!) লেখক হিসেবে চরম উদাস মনে করেন যে, গভীর কথা গভীরভাবে না বললেও চলে। হাসতে হাসতেই হালকাভাবেই দিব্যি বলে ফেলা যায়। তার এই কথার প্রতিফ

Subscribe to my blog

* indicates required